1. admin@rupalinews.net : admin :
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন

যেসব অভ্যাস মস্তিষ্কের ক্ষতি করছেন

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৯০ বার শেয়ার হয়েছে

রুপালীৈ নিউজ ডেস্ক :  দৈনন্দিন জীবনে আমরা জেনে না-জেনে এমন সব কাজ করি, যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। কী সেগুলো? জেনে নেওয়া যাক।

অপর্যাপ্ত ঘুম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিমিয়ার নিউরোলজি অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, আমাদের মস্তিষ্কের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম বলতে ২৪ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমকে বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে রাতে নিরবচ্ছিন্ন ঘুম সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

ঘুমানোর সময় মস্তিষ্ক বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে এবং নতুন কোষ তৈরি করে। কিন্তু ৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে নতুন কোষ গঠন হয় না।

সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাওয়া
সারা রাত না খেয়ে থাকার পর, দিনে কাজ করার শক্তি আসে সকালের নাস্তা থেকে। কিন্তু আমরা অনেকেই সকালে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নাস্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এড়িয়ে যাই।

এতে যেটা হয় রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় যার প্রভাব গিয়ে পড়ে মস্তিষ্কে। দিনের পর দিন নাস্তা না খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষয় হতে থাকে, কোষগুলো কার্যকারিতা হারায়। এতে পুষ্টির অভাবে স্বাভাবিক কাজগুলো করা কঠিন হয়ে যায়।

পর্যাপ্ত পানি পান না করা
আমাদের মস্তিষ্কের ৭৫% পানি। তাই মস্তিষ্কের সবচেয়ে ভালো কাজ করার জন্য একে আর্দ্র রাখা বেশ জরুরি। পানির অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যু সংকুচিত হয়ে যায় ও কোষগুলো কার্যক্ষমতা হারায়। এতে যৌক্তিক চিন্তা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দিনে কমপক্ষে দুই লিটার পানি খেতেই হবে। তবে ওজন, স্বাস্থ্য, বয়স, জীবনযাত্রা এবং আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে পানির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

অতিরিক্ত চাপ এবং শুয়ে বসে থাকা
দীর্ঘসময় খুব চাপের মধ্যে কাজ করলে মস্তিষ্কের কোষ মারা যায় এবং মস্তিষ্কের সামনে থাকা ফ্রন্টাল কর্টেক্স সংকুচিত হয়ে পড়ে। এতে আমাদের স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গবেষকদের মতে, যারা কাজের ব্যাপারে ভীষণ খুঁতখুঁতে, অন্যের সাহায্য নিতে ভরসা পাননা , আবার যারা ‘না’ বলতে পারেন না তারা সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপে ভোগেন। তাই যেকোনো উপায়ে অতিরিক্ত চাপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

অনেকেই আছেন যারা অসুস্থ অবস্থাতেও মস্তিষ্কে জোর দিয়ে কাজ করেন।

কিন্তু মনে রাখতে হবে শরীর অসুস্থ থাকলে মস্তিষ্ক রোগ প্রতিরোধে ব্যস্ত থাকে তাই এই সময় বাড়তি চাপ না দিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন। ছুটি নিন।

গুগল সার্চ
খেয়াল করে দেখবেন আমাদের আগের প্রজন্মের অনেকেই ক্যালকুলেটর ছাড়াই ছোটখাটো হিসাব কষে ফেলেন। তাদের ফোন নম্বর মুখস্থ থাকে। প্রচুর বই পড়ার কারণে তাদের সাধারণ জ্ঞানও সমৃদ্ধ।

তাদের এই অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মতো যা তাদের চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তিকে দীর্ঘসময় শানিত রেখেছে। কিন্তু এই যুগে আমাদের এতকিছু মনে রাখার প্রয়োজন হয় না। প্রযুক্তির উপর এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে আমাদের ব্রেইনের নিজস্ব ক্ষমতা কমে গেছে। স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে।

মস্তিষ্ক শানিত করতে সবকিছু গুগল সার্চ না করে মনে রাখতে চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। সেইসাথে শব্দ-জট খেলা বিভিন্ন ধরনের পাজল মেলানো, সুডোকু ইত্যাদি ব্রেইন অ্যাকটিভিটির খেলা খেলতে পারেন।

হেডফোন ব্যবহার, উচ্চ শব্দে জোরে গান শোনা
আপনি যে হেডফোন বা এয়ারপড ব্যবহার করছেন সেটা ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে শ্রবণশক্তির ক্ষতি করতে পারে। সেইসাথে জোরে জোরে গান শুনলে কিংবা উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে শ্রবণের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ভয়ের বিষয় হলো শ্রবণশক্তির একবার যে ক্ষতি হয় সেটা আর ঠিক করা যায় না। আর শ্রবণশক্তি কমে গেলে এর সরাসরি প্রভাব মস্তিষ্কে গিয়ে পড়ে।

মার্কিন গবেষকদের মতে, শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের টিস্যুর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে তাদের আলঝেইমার্স হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

একা একা থাকা, সামাজিক না হওয়া
মানুষের সাথে কথা বলা, আড্ডা দেওয়া, এক কথায় সামাজিকীকরণ আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ জরুরি।

খুব বেশি সময় একা একা সময় কাটানো আপনার মস্তিষ্কে ঠিক ততটাই খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে যেমনটা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হয়। সামাজিকীকরণের ফলে আমাদের মস্তিষ্ক উদ্দীপ্ত থাকে, যা একা থাকলে হয় না। বরং একাকিত্ব থেকে বিষণ্নতা, উদ্বেগ ভর করে এবং এমনকি ডিমেনশিয়া এবং আলঝেইমার্স রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

নেতিবাচক চিন্তা
নেতিবাচক চিন্তা করার ফলে একদিকে যেমন মানসিক চাপ, হতাশা এবং উদ্বিগ্নতা দেখা দেয়। তেমনি মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইলয়েড এবং টাউ জমে। যা ডিমেনশিয়া ও আলেঝেইমার্স হওয়ার বড় কারণ।

এজন্য নেতিবাচক চিন্তা এলেই সেটা সাথে সাথে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এমনটা বার বার করলে একসময় অভ্যাস হয়ে যাবে।

অন্ধকারে সময় কাটানো
মার্কিন এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা অন্ধকারে বেশি সময় কাটান কিংবা দীর্ঘসময় এমন কোনো আবদ্ধ স্থানে থাকেন যেখানে তেমন আলো বাতাস চলাচল করে না, এমন পরিবেশ মস্তিষ্কের ওপর ভীষণ চাপ তৈরি করে।

কারণ আমাদের মস্তিষ্কের জন্য সূর্যের আলোর সংস্পর্শ পাওয়া বেশ জরুরি। নাহলে ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা হতে পারে। মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সূর্যের আলোয় যেতে হবে। এজন্য বাইরে বেরিয়ে পড়ুন। ঘরে থাকলে দরজা জানালা খুলে দিন।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

One response to “যেসব অভ্যাস মস্তিষ্কের ক্ষতি করছেন”

  1. MSP says:

    🥰🥰🥰🥰

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Powered by: Nfly IT